উচ্চ রক্তচাপ এখন সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন বয়সের মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন। এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধ, ব্যায়াম করার পাশাপাশি লবণে কড়াকড়ি আরোপ করেন চিকিৎসকরা। তবে এর পাশাপাশি এই সমস্যা মোকাবিলায় দারুণ কার্যকর হতে পারে বিটের রস।
বিটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, আয়রন, ক্যালশিয়াম বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। নিয়মিত বিটের রস খেলে ত্বক, লিভার, কিডনিসহ একাধিক সমস্যায় উপকার মিলবে।
বিটের রোগ প্রতিরোধ বাড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে। ভিটামিন সি, ফাইবার,স্নায়ু ও পেশির কারিগর পটাশিয়াম। এছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন বি ও ফোলিক অ্যাসিড৷ শরীরকে বিষমুক্ত করার কাজে সহায়তা করে এই সবজি৷ বিটের চেয়ে বেশি গুণ এর শাক৷ প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, ফাইবার ও আয়রনে সমৃদ্ধ৷
জার্নাল অব নিউট্রিশনে প্রকাশিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতিদিন কমপক্ষে এক গ্লাস বিটের রস রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। হাইপারটেনশন কমাতেও বিট গ্রহণ করতে বলা হয়।
আরও একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, যে উচ্চ রক্তচাপ ওষুধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। সেখানে এক গ্লাস বিট রসের মাধ্যমে রোগীদের রক্তচাপ কমাতে এবং নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
অ্যাপ্লাইড ফিজিওলজির জার্নাল অনুসারে, অন্য একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে বিটের রস এবং এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ইতিবাচক লক্ষণ পাওয়া গেছে। বিট রস ৫৪ থেকে ৮০ বছর বয়সের লোকদের জন্য খুব কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছিল।
বিটে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ফাইটোকেমিক্যাল এবং খনিজ রয়েছে। নাইট্রিক অক্সাইড, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। নাইট্রিক অক্সাইড আমাদের দেহের দ্বারা উৎপাদিত একটি অণু যা সারা শরীরের কোষগুলিতে সংকেত স্থানান্তর করতে সহায়তা করে। প্রতিদিন এই রস খেলে শরীর জুড়ে রক্ত প্রবাহকে আরও উন্নত করতে সহায়তা করে।
এছাড়াও, বিটরুটে ভিটামিন বি রয়েছে। যা স্নায়ু কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে বিটের রস পান করলে উচ্চ রক্তচাপ কমে যায়। হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে। আয়রন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং ফাইটোকেমিক্যালগুলি রক্তকে বিশুদ্ধ করতে সহায়তা করে এবং মস্তিষ্কে অক্সিজেনের প্রবাহ বাড়িয়ে তোলে।
বিটের রস পান করা ছাড়াও এটি স্যুপ, সালাদ বা স্বাস্থ্যকর মিষ্টি হিসাবে খাওয়া যেতে পারে। তবে, বিটের রস খাওয়ার আগে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।